কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
চট্টগ্রাম ! বীর প্রসবিনী চট্টগ্রাম। প্রাচ্যের রানি নামে খ্যাত হাজার হাজার বছরের নানা ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই চট্টগ্রাম। সাগর, পাহাড়, নদী ও সমতলভূমির অপুর্ব সমাহারে প্রাকৃতিক লীলাভুমির চট্টগ্রাম ভূ-প্রাকৃতিক দিক থেকে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে মহান স্রষ্টা ভিন্ন আদলে গড়ে তুলেছেন।
বঙ্গোপসারের বিশালতা ও দিগন্তবিস্তৃত উত্তাল শৈলমালা, পাহাড়ের অনিন্দ্য মাধুর্য মৌনতা ও বহমান নদ-নদীর কলকাকলিতে প্রকৃতি যেন নিজে সাজিয়ে নিয়েছে রূপসী কন্যার সাজে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির সেতুবন্ধনে চট্টগ্রামের রয়েছে গর্বিত ইতিহাস। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সমগ্র এশিয়া তথা প্রাচ্য-প্রতীচ্যের মেলবন্ধন হিসেবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতেও চট্টগ্রাম। ব্রিটিশ উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের সূচনালগ্নে সিপাহী বিল্পব থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ, ৪৭’র দেশ বিভাগ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধসহ সকল ঐতিহাসিক পট পরিবর্তন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের বীরগাথা হাজার বছরের ঐতিহ্যময় চট্টগ্রামের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। তাই অগ্নিগর্ভ বীর চট্টগ্রাম এক সমৃদ্ধ সংগ্রামী অতীত, ধর্ম-কৃষ্টি ,আঞ্চলিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপার ঐশ্বর্যের ধারক বাহক হয়ে গর্বের সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। দেশের একমাত্র সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে হওয়ায় সকল অর্থনৈতিক প্রাণচঞ্চল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে চট্টগ্রাম। তাই বলা হয় চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে সমগ্র দেশের উন্নয়ন। জাতীয় আয়ের সিংহভাগ যোগান দেয় চট্টগ্রাম। ব্যবসা-বাণিজ্যের সঞ্চালক বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত চট্টগ্রাম মহানগরীরর উন্নয়নে নগরীতে যে-কটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান প্রতিস্ঠান হচ্ছে-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
বিশ্ব সভ্যতার ক্রমবিকাশে নগরের উন্মেষ ঘটে। প্রশাসন, ব্যবসা-বানিজ্য, ধর্ম-কৃস্টি, উন্নয়ন সর্বোপরি নাগরিক সেবায় নগরের ভুমিকা সুপ্রাচিন। চট্টগ্রামও একটি প্রাচীন শহর সুবহ বাঙালার তিনটি হস্তান্তরিত জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম একটি। এরপর চট্টগ্রামে স্থাপিত হয় ইংরেজ শাসন ব্যবস্থা। ঐতিহাসিকগণ বন্দরকে চট্টগ্রামের সঙ্গে এক ও অভিন্ন মনে করেন। বন্দরের কার্যক্রমকে ঘিরে শহর চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম পৌরসভা স্থাপনের মাধমে। চট্টগ্রাম পৌরসভা স্থাপনের তারিখ ২২জুন ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ। এর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তৎকালিন জেলা ম্যাজিস্ট্রে মি.জে.ডি.ওয়ার্ড।
সকল চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কালের বিবর্তনে সেই ছোট পরিসরের পৌরসভা আজকের সিটি কর্পোরেশন। বিশাল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে নানামুখি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং নাগরিক সেবায় আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে নিবেদিত। নির্বাচিত একজন মেয়র, ৪১ জন কাউন্সিলর এবং ১৪ জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরদের নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডে অর্থাৎ প্রায় ৬০ বর্গ মাইল এলাকায় নগর কাযর্ক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস